শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন

শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে বিপিএল

স্পোর্টস রিপোর্টার, একুশের কণ্ঠ:: আগামীকাল শুক্রবার (১৯ জানুয়ারী) থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের দশম আসর। টুর্নামেন্টটি দেশের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক ইভেন্ট ভেবেই খেলতে নামবে ক্রিকেটাররা।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এবং নতুন নামকরণ হওয়া দুর্দান্ত ঢাকার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে বিপিএল। ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে।

দিনের অন্য ম্যাচে মুখোমুখি হবে সিলেট স্ট্রাইকার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে। দু’টি ম্যাচই হবে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

এবারের মৌসুমে দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে মাঠ মাতাবেন পেসার শরিফুল ইসলাম। বিপিএল নিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বিপিএল অনেক সাহায্য করবে। এটা আমাদের প্রধান টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। এখানে ভালো পারফর্ম করে সবার নজর কাড়তে চাই। আমি মনে করি, এই টুর্নামেন্টটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে আমাদের সহায়তা করবে।’

শুক্রবার বাদে সপ্তাহের অন্য দিনের প্রথম ম্যাচ দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে এবং দ্বিতীয়টি সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে। শুক্রবারের প্রথম ম্যাচ দুপুর ২টায় এবং দ্বিতীয়টি সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে।

এবারের বিপিএলের শিরোপা লড়াইয়ে থাকা সাতটি দল হলো- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, রংপুর রাইডার্স, দুর্দান্ত ঢাকা, খুলনা টাইগার্স, ফরচুন বরিশাল, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স এবং সিলেট স্ট্রাইকার্স।

ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম এবং সিলেটের সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৪৩ দিনে মোট ৪৬টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

বিপিএলে নতুন দল না হলেও এবার নতুন মালিকানার অধীনে খেলবে ঢাকা।

ঢাকার কোচ হিসেবে দায়িত্বে থাকা খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘যখন কেউ দল গড়ে তখন ওই দলের লক্ষ্য থাকে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। কিন্তু বাস্তবে আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ নকআউট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা। কখনো কখনো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য ভাগ্যের প্রয়োজন হয়।’

টুর্নামেন্টের উন্মাদনা যেমনটা হওয়া উচিত, সেটি প্রত্যাশিতভাবে হয়নি। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, টুর্নামেন্ট শুরু হলে তা সবার মধ্যে সাড়া ফেলবে।

বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন থাকায়, সবাই সেখানে ব্যস্ত ছিল। এর জন্য আমরা উন্মাদনা তৈরিতে খুব বেশি কাজ করতে পারিনি। তবে টুর্নামেন্টটি সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে আমরা সকল কার্যক্রম চালিয়ে গিয়েছি। মাঠের লড়াই শুরু হলে, এমনিতেই উন্মাদনার সৃষ্টি হবে।’

আগের মতো নয়, এবার টুর্নামেন্টটিকে ভালোভাবে সাজানোর অঙ্গীকার করেছিল বিসিবি। বিসিবির বেশ কয়েকজন পরিচালক বলেছেন, বিশেষভাবে মিরপুরের উইকেট এমনভাবে প্রস্তুত করা হবে যেন হাই-স্কোরিং ম্যাচ হয়। তবে মিরপুরের উইকেট সবসময়ই ধীরগতির এবং নিচু হয়ে থাকে।

আগেরবারের চেয়ে ধারাভাষ্যকে মনমুগ্ধকর করতে পাকিস্তানের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজাকে এনেছে আয়োজকরা। তারই স্বদেশী আমির সোহেল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক কিংবদন্তি কোর্টলি অ্যামব্রোস, শ্রীলঙ্কার রাসেল আরনল্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার এইচডি অ্যাকারম্যানের সাথে ধারাভাষ্যে থাকবেন সাবেক পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান রাজাও। তাদের সাথে স্থানীয় ধারাভাষ্যকাররাও থাকবেন।

এবার টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ডিআরএস সিস্টেম কার্যকর থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তারা।

সূত্র: বাসস

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com